২১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন, ২৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শুক্রবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের ক্রাইম ডেক্স
ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মিয়াপাড়া এলাকার একটি বাসার খাটের নিচ থেকে ঝুমা আক্তার (৩৫) নামের এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, কমপক্ষে ৭ দিন আগে তাকে খুন করে লাশটি লুকিয়ে রেখেছিল তার মা ও বোন।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, মৃতদেহটি আনুমানিক সাত দিনের পুরোনো। গন্ধ বের হওয়ার পরও ঝুমার মা ও বোন ওই বাড়িতে বসবাস করতেন, রান্না করতেন, খাবার খেতেন।
তিনি বলেন, পুলিশ যখন বাড়ির ওই কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করে তখন ঝুমার মা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
সুমন রঞ্জন এলাকাবাসীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মৃতের মা ও এক বোন অসামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেন ঝুমা।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
ঝুমা আক্তার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল মৃত আব্দুল আহাদ তালুকদারের বড় মেয়ে। চার বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। আব্দুল আহাদ তালুকদারের চার চালা টিনের ঘরের একটি খাটের নিচ থেকে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
ওই বাড়িতে ঝুমা তার মা ও বোনের সঙ্গে থাকতেন। বাকি দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে পুলিশে চাকরি করেন।
রোববার সকালে ঘর থেকে লাশের দুর্গন্ধ বের হলে এলাকাবাসী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন করে খবর দেয়। পরে বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, ঘরের ভিতর থেকে লাশের দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশ কে খরব দেয়। অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল মৃত আব্দুল আহাদ তালুকদারের চার চালা টিনের ঘরের একটি খাটের নিচ থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃত ঝুমার মা মনোয়ারা বেগম (৫৫) ও ছোট বোন সুমা আক্তারকে (২৭) আটক করা হয়। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।
তিনি বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে মৃতের ভাই বাদী হলে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, ঝুমাকে প্রায়ই মারধোর করতেন তার মা ও বোন। এলাকাবাসী ফেরাতে গেলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন।